Friday 24 May 2019

ঘরের কাছে অন্য দক্ষিনেশ্বর

চাণক অন্নপূর্ণা মন্দির / শিবশক্তি মন্দির

Image may contain: outdoor    
 Image may contain: outdoor       
Image may contain: sky and outdoor
মন্দির অবিকল দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরী.
নাটমন্দিরটিও একদম একইরকম। পার্থক্য এইটুকুই যে উচ্চতায় খানিক কম,এবং দ্বাদশ শিবলিঙ্গের পরিবর্তে ছয়টি শিবলিঙ্গ বর্তমান। মন্দিরের চারপাশ খুব সুন্দর শ্রী রামকৃষ্ণর স্নেহধন্য এই মন্দির।ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বিজ্ঞাপনের অভাবে অবহেলিত। এখানে অষ্টধাতুর অন্নপূর্ণা দেবী অধিষ্ঠিত। পুরোহিত খুবই ভাল। সবার সাথে ভালো ভাবে কথা বলেন।
Image may contain: sky and outdoor
Image may contain: sky and outdoor
Image may contain: indoor
Image may contain: 1 person, indoor
Image may contain: one or more people, sky and outdoor
Image may contain: outdoor
No photo description available.


ইতিহাস: জানবাজারের রাণী রাসমণি ২৪ টি নৌকায় আত্মীয় পরিজন ও কাজের সব মানুষদের নিয়ে রওনা দেন কাশীতে মা অন্নপুর্ণা মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার জন্য। গঙ্গাপথে প্রবল ঝড়ের মুখে পড়ে তার নৌবহর। যাত্রায় বাঁধা পড়ে,রাণী মা স্বপ্নে মা কালীর দেখা পান এবং তার নির্দেশ মত সেই স্থানেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৫ সালে তৈরী হয় দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দির। তবে তার অন্নপুর্ণা মায়ের দর্শন অপূর্ণই থেকে গেল। এমতাবস্থায় জামাতা মথুরামোহন দাস চাইলেন কাছেই কোথাও অন্নপুর্ণা মন্দির তৈরী করতে। এই কাজে পাশে পেলেন স্ত্রী জগদম্বা দেবী কে।ব্যারাকপুরের কাছে গঙ্গার তীরে ৫৫ বিঘা জমিতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ১৮৭৫ সালে (১২৮১ বঙ্গাব্দে)তৈরী হল অন্নপুর্ণা মায়ের মন্দির যা শিবশক্তি মন্দির হিসেবেও পরিচিত।
n.b. এখানে মূর্তির ছবিটি আগে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন তোলা তখন বিধি নিষেধ ছিলোনা এখন বর্তমানে বিগ্রহের ছবি তোলা নিষেধ

Timings: Summers: 5:30am to 12:30pm and 4pm to 8pm. Winters: 6am to 1pm and 3:30pm to 8pm.
নিত্য ভোগের ব্যবস্থা হয়,লুচি, ভাজা,তরকারি,ফলপ্রসাদ ইত্যাদি। ভোগের জন্য আগে থেকে ফোনে বলে রাখলে ভালো।

কিভাবে আসবেন- বি.টি.রোডে ব্যারাকপুরগামী বাসে করে নামতে হবে তালপকুর, ট্রেনে এলে শিয়ালদা মেন লাইনে ব্যারাকপুর নেমে অটো করে তালপুকুর আসতে হবে।টিটাগড় থানার আগে বাজার ঠিক তার আগে bus stand এর পাসের রাস্তা দিয়ে ঢুকে সোজা
আমি স্মার্ট ফোন এ গুগল ডাইরেকশন অন করে গিয়েছিলাম বি.টি রোড ধরে 🙂
Image may contain: 3 people, including Atish Bhattacharyya, people standing and outdoor      
Feedback: অন্যান্য মন্দিরের মত ব্যবসা নেই। শুদু শান্তি।একই রকম নক্সায় নাটমন্দির শিব মন্দির সহ এই মন্দির উদ্বোধন করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। আশ্চর্যের যেখানে দক্ষিণেশ্বরে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় সেখানে অন্নপূর্ণা মন্দিরে কেবল আমরা তিনজন। দেখলাম নাটমন্দিরে স্থানীয় কয়েকটি যুবক গল্প করছে। বিরাট লনটিতে বাচ্চারা ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। চরে বেড়াচ্ছে গোরু-বাছুর! অথচ যেটুকু জানলাম এই মন্দিরটিও পরিচালনা করে একটি ট্রাস্টি। নিত্যপুজা ও ভোগের ব্যবস্থাও হয় ঠিক ঠিক। তবে কেন ভক্তের ভক্তির এত কার্পণ্য? শুধুই কি স্থান মাহাত্ম্য? নাকি ভগবানেরও বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন? এমন দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্যটি সাধারণের দৃষ্টির এত বাইরে কেন ?

Thursday 31 December 2015

বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে ......শিমুলতলা-মধুপুর

সারি সারি শিমুলের সমারোহ হয়তো এখানে নেই। তবে আছে ছোটখাটো জঙ্গল, ইউক্যালিপ্টাসের সারি, চারিদিকে ছোট ছোট পাহাড় আর সবুজের সমারোহ। এখানকার জলবায়ু দারুণ স্বাস্থ্যকর। তার আগে প্রায়শই বাঙালির দল স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য ডেরা বাঁধতেন এখানে। কলকাতা থেকে শিমুলতলার দূরত্ব ৩৪২ কিমি।
কী ভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে ১৩০০৭ আপ উদ্যান আভা এক্সপ্রেস, ১৩০৩৯ আপ হাওড়া-দিল্লি জনতা এক্সপ্রেস মধুপুর, শিমুলতলায় যাচ্ছে। তবে জনতা এক্সপ্রেস মাঝ রাতে পৌঁছয়। উদ্যান আভা-তে দিনে দিনে পৌঁছনো যায়।

কোথায় থাকবেন: শিমুলতলায় বিভিন্ন অস্থিরতার কারণে মাঝে পর্যটকদের তেমন ভিড় ছিল না। বর্তমানে আবার পর্যটকেরা ভিড় করছেন। হোটেল, লজের বেশ অভাব। কিছু বাড়ি পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হয়। সেখানে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।



স্টেশন থেকে কাছেই অন্যা রিসর্ট (০৯৫৪৬৮৯২১৭৭) ডাবল বেড ৭০০ টাকা। এসি ২০০০ টাকা। অপূর্ব আবাস (২৫৬০০৫) ভাড়া ৪০০-৬০০ টাকা। মুখার্জি লজ (২৪১০-০৩২৪ কলকাতার নম্বর), ভাড়া জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা। ঘরের সঙ্গে কিচেন, রান্নার সরঞ্জাম, লাগোয়া বাথরুম রয়েছে। এসটিডি কোড: ০৬৪৩৮

কী দেখবেন: শিমুলতলার নির্জন প্রকৃতি আর পাহাড়ি জল শরীর-মনকে চাঙ্গা করে তোলে। শিমুলতলা থেকে ট্রেনে ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যান ৪৮ কিমি দূরের মধুপুরে। মধুপুরও স্বাস্থ্যকর স্থান। এখানকার পাথরোল কালীবাড়ি ভীষণ জাগ্রত বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বলিও হয় এখানে।

শিমুলতলায় রিকশা নিয়ে ঘুরে দেখা যায় দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। পরিত্যক্ত রাজবাড়ি, লাট্টু পাহাড়, হলদি ফলস প্রভৃতি। সিনেমাপ্রেমীরা দেখে নিতে পারেন তরুণ মজুমদারের বিখ্যাত দুই ছবি ‘দাদার কীর্তি’ ও ‘ভালবাসা ভালবাসা’-র শ্যুটিং স্পট।

শিমুলতলা থেকে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নেওয়া যায় গিরিডি। শিমুলতলা থেকে লোকাল ট্রেনেও আসা যায় গিরিডি। গিরিডিও স্বাস্থ্যকর জায়গা। এখানকার প্রধান আকর্ষণ উস্রি ফলস, জৈনদের শ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্র পরেশনাথ পাহাড়। এই পাহাড়ে বসবাসকারী ২৪ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২০ জনই এখানে মহানির্বাণ লাভ করেন। স্বামী পার্শ্বনাথ একশো বছর বয়সে এই পাহাড়ে মোক্ষলাভ করেন বলে পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে পরেশনাথ। এটি ঝাড়খণ্ডের সর্বোচ্চ পাহাড়। হাতে সময় থাকলে গাড়ি ভাড়া করে দেখে নিতে পারেন তোপচাঁচি ড্যাম ও লেক, জশিডি, খাণ্ডোলি ড্যাম ও পেকারিয়া ফলস।

Saturday 5 December 2015

চিংড়ি কিমা স্ন্যাক্স


উপকরণ:
 চিংড়ি (বড়), চিকেন কিমা ২০০ গ্রাম, পাতিলেবু ১টা, রসুনবাটা ২ টেবলচামচ, আদাবাটা ১ টেবলচামচ, গোলমরিচগুঁড়ো স্বাদমতো, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবলচামচ, ডিম ৩টে, বিস্কিটগুঁনো ১ কাপ, সাদা তেল পরিমাণমতো, নুন আর চিনি স্বাদমতো।





প্রণালী: 
চিংড়ি পরিষ্কার করে লেবুর রস, নুন, আদাবাটা, রসুনবাটা, গোলমরিচগুঁনো দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখুন। কিমা, রসুন, ধনেপাতা একসঙ্গে বেটে নিন। মিশ্রণের মধ্যে নুন, চিনি, গোলমরিচগুঁড়ো, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মিশিয়ে নিন। ম্যারিনেট করা চিংড়ি টুথপিকে গেঁথে (সোজা করে নিয়ে মাথা বাদ দিয়ে) কিমার মিশ্রণে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ডিম, নুন, গোলমরিচগুঁড়ো দিয়ে ফেটিয়ে গোলা বানিয়ে নিন। কিমায় মাখানো চিংড়ি ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়ো মাখিয়ে তেলে ভেজে নিন। স্ন্যাক্স হিসেবে অনবদ্য।