চাণক অন্নপূর্ণা মন্দির / শিবশক্তি মন্দির
মন্দির অবিকল দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরী.
নাটমন্দিরটিও একদম একইরকম। পার্থক্য এইটুকুই যে উচ্চতায় খানিক কম,এবং দ্বাদশ শিবলিঙ্গের পরিবর্তে ছয়টি শিবলিঙ্গ বর্তমান। মন্দিরের চারপাশ খুব সুন্দর শ্রী রামকৃষ্ণর স্নেহধন্য এই মন্দির।ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বিজ্ঞাপনের অভাবে অবহেলিত। এখানে অষ্টধাতুর অন্নপূর্ণা দেবী অধিষ্ঠিত। পুরোহিত খুবই ভাল। সবার সাথে ভালো ভাবে কথা বলেন।
ইতিহাস: জানবাজারের রাণী রাসমণি ২৪ টি নৌকায় আত্মীয় পরিজন ও কাজের সব মানুষদের নিয়ে রওনা দেন কাশীতে মা অন্নপুর্ণা মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার জন্য। গঙ্গাপথে প্রবল ঝড়ের মুখে পড়ে তার নৌবহর। যাত্রায় বাঁধা পড়ে,রাণী মা স্বপ্নে মা কালীর দেখা পান এবং তার নির্দেশ মত সেই স্থানেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৫ সালে তৈরী হয় দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দির। তবে তার অন্নপুর্ণা মায়ের দর্শন অপূর্ণই থেকে গেল। এমতাবস্থায় জামাতা মথুরামোহন দাস চাইলেন কাছেই কোথাও অন্নপুর্ণা মন্দির তৈরী করতে। এই কাজে পাশে পেলেন স্ত্রী জগদম্বা দেবী কে।ব্যারাকপুরের কাছে গঙ্গার তীরে ৫৫ বিঘা জমিতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে ১৮৭৫ সালে (১২৮১ বঙ্গাব্দে)তৈরী হল অন্নপুর্ণা মায়ের মন্দির যা শিবশক্তি মন্দির হিসেবেও পরিচিত।
n.b. এখানে মূর্তির ছবিটি আগে যখন আমরা গিয়েছিলাম তখন তোলা তখন বিধি নিষেধ ছিলোনা এখন বর্তমানে বিগ্রহের ছবি তোলা নিষেধ
Timings: Summers: 5:30am to 12:30pm and 4pm to 8pm. Winters: 6am to 1pm and 3:30pm to 8pm.
নিত্য ভোগের ব্যবস্থা হয়,লুচি, ভাজা,তরকারি,ফলপ্রসাদ ইত্যাদি। ভোগের জন্য আগে থেকে ফোনে বলে রাখলে ভালো।
কিভাবে আসবেন- বি.টি.রোডে ব্যারাকপুরগামী বাসে করে নামতে হবে তালপকুর, ট্রেনে এলে শিয়ালদা মেন লাইনে ব্যারাকপুর নেমে অটো করে তালপুকুর আসতে হবে।টিটাগড় থানার আগে বাজার ঠিক তার আগে bus stand এর পাসের রাস্তা দিয়ে ঢুকে সোজা
আমি স্মার্ট ফোন এ গুগল ডাইরেকশন অন করে গিয়েছিলাম বি.টি রোড ধরে 🙂
আমি স্মার্ট ফোন এ গুগল ডাইরেকশন অন করে গিয়েছিলাম বি.টি রোড ধরে 🙂
Feedback: অন্যান্য মন্দিরের মত ব্যবসা নেই। শুদু শান্তি।একই রকম নক্সায় নাটমন্দির শিব মন্দির সহ এই মন্দির উদ্বোধন করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। আশ্চর্যের যেখানে দক্ষিণেশ্বরে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় সেখানে অন্নপূর্ণা মন্দিরে কেবল আমরা তিনজন। দেখলাম নাটমন্দিরে স্থানীয় কয়েকটি যুবক গল্প করছে। বিরাট লনটিতে বাচ্চারা ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। চরে বেড়াচ্ছে গোরু-বাছুর! অথচ যেটুকু জানলাম এই মন্দিরটিও পরিচালনা করে একটি ট্রাস্টি। নিত্যপুজা ও ভোগের ব্যবস্থাও হয় ঠিক ঠিক। তবে কেন ভক্তের ভক্তির এত কার্পণ্য? শুধুই কি স্থান মাহাত্ম্য? নাকি ভগবানেরও বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন? এমন দৃষ্টি নন্দন স্থাপত্যটি সাধারণের দৃষ্টির এত বাইরে কেন ?